
এমপি নয়, তিতাস-হোমনার প্রতিটি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে সেবক হয়ে থাকতে চাই” — সাবেক ছাত্রনেতা ওমর ফারুক মুন্না
এম এ জামান।।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬-কে সামনে রেখে কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে উঠে এসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের পদাধিকারী, তিতাস উপজেলার আলিনগর গ্রামের কৃতি সন্তান ওমর ফারুক মুন্না।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতিটি সংগ্রামে রাজপথের পরীক্ষিত সাহসী মুখ হিসেবে পরিচিত এই সাবেক ছাত্রনেতা। দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হন তিনি। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ৫৪টি মিথ্যা মামলা রয়েছে, যার কারণে দীর্ঘ ১৬ বছর নিজ গ্রামে যাতায়াত করতে পারেননি।
রাজনৈতিক নির্যাতন ও পুলিশের হয়রানির কারণে তার পরিবারকেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এমনকি এসব চাপ সহ্য করতে না পেরে তার পিতা ব্রেন স্ট্রোক করেন। তবুও দমে যাননি ওমর ফারুক মুন্না— রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
আমি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দলের নির্দেশে রাজপথে থেকেছি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। কোভিড-১৯ ও বন্যার সময় তারেক রহমান ভাইয়ের নির্দেশে হোমনা ও তিতাসের বিভিন্ন ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করেছি।”
তিনি আরও বলেন,
২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি কুমিল্লা-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম, পরে দলের সিদ্ধান্তে তা প্রত্যাহার করি। এবারও যদি দল আমাকে মূল্যায়ন করে, তাহলে আমি এমপি নয়— তিতাস ও হোমনার প্রতিটি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে সেবক হয়ে থাকতে চাই।”
ওমর ফারুক মুন্না বিশ্বাস করেন— রাজনীতি মানে ক্ষমতার আসন নয়, মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা।