খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৩১ আশ্বিন, ১৪৩২

লতিফ সিদ্দিকীসহ ‘মঞ্চ ৭১’ অনুষ্ঠান থেকে আটক সবার ‘সসম্মানে মুক্তি’ দাবি কাদের সিদ্দিকীর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫, ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ
লতিফ সিদ্দিকীসহ ‘মঞ্চ ৭১’ অনুষ্ঠান থেকে আটক সবার ‘সসম্মানে মুক্তি’ দাবি কাদের সিদ্দিকীর

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ‘মঞ্চ ৭১’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আটক হওয়া সবার সসম্মানে মুক্তি দাবি করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মঞ্চ ৭১–এর অনুষ্ঠানে শ্রোতা ও বক্তা—উভয় দিক থেকেই লোকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। তাদের সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হোক।’ একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে নিশ্চয়তা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের কাছে দাবি জানান তিনি।

মব সৃষ্টি করে আলোচনা বানচাল করার অভিযোগ তুলে কাদের সিদ্দিকী বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক দেশে কারও সভা-সমাবেশ বানচাল করার সাংবিধানিক বা আইনানুগ কোনো সুযোগ নেই।’

২৪ আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিজয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সেই বিজয়কে স্বাধীনতার কাছাকাছি মনে করি। কিন্তু সেই বিজয়ী বীরদের কার্যকলাপে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আমি ভেবেছিলাম এই বিজয় হাজার বছর স্থায়ী হবে। অথচ এক বছরের মধ্যেই তা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে—এটা আমরা কল্পনা করিনি।’

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশের একমাত্র সমস্যা হচ্ছে সুন্দরভাবে নিরপেক্ষভাবে ভোট অনুষ্ঠান। ভোটাররা যাতে নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে, সেই সংস্কার আনা দরকার। অনির্বাচিত কারও পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়, উচিতও নয়। সেটা মানুষ মেনে নেবে না।’

মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যের প্রচেষ্টা নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, প্রথমে কাদেরিয়া বাহিনীর একটি ঐক্যের চেষ্টা করছি। আমার বিশ্বাস, আমরা প্রভূত সাফল্য অর্জন করব। আওয়ামী লীগের, বিএনপির বা জাতীয় পার্টির—এভাবে ভাগ না করে সব মুক্তিযোদ্ধাই বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা। এই পরিচয় ও চেতনা থাকা দরকার।’

বিটিভিকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ণ
   
বিটিভিকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে মানববন্ধন

ছাত্রলীগ নেতাসহ হাসিনার আস্তাভাজনরা এখনো বহাল তবিয়তে, আওয়ামী পুনর্বাসনে ডিজি মাহবুবুল আলম : কর্তৃপক্ষের ভূমিকা রহস্যজনক

 

ঢাকা ১৪ অক্টোবর ২০২৫:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদকাল ১ বছর অতিবাহিত হলেও হাসিনার আস্থাভাজনদের ভয়াল ছোবল থেকে মুক্ত হতে পারেনি দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল বিটিভি। অভিযোগ উঠেছে বিটিভিতে আওয়ামী পুনর্বাসনে ব্যস্ত সময় পার করছেন এক সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে চাকুরিচ্যুত বর্তমান চুক্তিভিত্তিক মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র হত্যায় মিডিয়া কুশীলবদের অন্যতম উপ -মহাপরিচাক সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ রয়েছেন বহাল তবিয়তে। তার সহযোগী মুন্সী ফরিদুজ্জামানকে সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও উপকেন্দ্রে বদলি মাধ্যমে জুলাই হত্যার দায় শেষ করার ষড়যন্ত্রে মেতে রয়েছেন আওয়ামী সিন্ডিকেট। আন্দোলন চলাকালে হাছান মাহমুদের টাকার উৎস ছাত্রলীগ নেতা বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামও বহাল তবিয়তে রয়েছেন বিটিভিতে। ছাত্রদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারে সেসময় বিটিভিতে গঠিত কমিটির প্রধান শামছুল আলমকে উল্টো প্রমোশন দিয়ে বার্তা শাখার নির্বাহী প্রযোজক ও বেআইনী ভাবে প্রোগ্রাম ম্যানেজার বানানো হয়। শুধু তাই নয় প্রেস সচিবের নাম ভাঙিয়ে বিটিভির পক্ষ থেকে যুক্ত করা হয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। জুলাই আন্দোলনে বিটিভিতে হামলাকারী হিসেবে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনিসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাকারী তৎকালীন জিএম মাহফুজা আক্তারের বিরুদ্ধেও নেওয়া হয়নি শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা।

আর তাই ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ সমমনা ৯ টি সংগঠনকে নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো : মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায়- ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন এর সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার এর সভাপতিত্বে : বক্তব্য রাখেন – ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম প্রধান ও দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন এর সভাপতি ও বিএনপি নেতা এম রফিকুল ইসলাম রিপন, মানবাধিকার সংগঠক ও ন্যাশনাল লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মো: শফিকুল ইসলাম। ডিইউজে সদস্য সাংবাদিক তাজুল ইসলাম।

এছাড়াও উপস্থিত থেকে সংহতি প্রকাশ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা ও বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক প্রচার সম্পাদক জাকির হোসেন। ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন এর সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ স্বপ্নীল সরকার,। সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন আরিয়ান। সদস্য – সুহিল ইরফান কৌশিক, সদস্য ইমরান আহমেদ চৌধুরী, সদস্য শিহাব উদ্দীন সরকার, সদস্য তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘জুলাই গণহত্যায় বিটিভির কুশীলব’-দের একজনকেও গ্রেপ্তার, বরখাস্ত, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, বাধ্যতামূলক অবসর কিংবা সামান্যতম বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। বরং জুলাই গণহত্যায় প্রমাণিত বিটিভির অন্যতম কুশীলব উপমহাপরিচালক (বার্তা ও অনুষ্ঠান) ড. সৈয়দা তাসমিনা আহমেদ, তৎকালীন জেনারেল ম্যানেজার (চলতি দায়িত্ব) মাহফুজা আক্তার, ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অর্থ যোগানদাতা সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (চলতি দায়িত্ব) ছাত্রলীগ নেতা মো: মনিরুল ইসলাম এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে গঠিত প্রচার-প্রচারণা কমিটির প্রধান-নির্বাহী প্রযোজক (বার্তা) শামছুল আলমদের সুপরিকল্পিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে পূর্বের মত ফ্যাসিবাদী রাজত্ব কায়েমের মাধ্যমে দুর্নীতি, লুটপাট এবং তথ্য পাচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

একইসাথে আওয়ামী আশীর্বাদপুষ্ট ও বিশেষ সুবিধাভোগী বিটিভির তৎকালীন মহাপরিচালক ড. জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধেও এখন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিটিভি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এরূপ রহস্যজনক ভূমিকায় শিল্পী, কলাকুশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণহত্যায় আহত-নিহতদের পরিবারসহ জুলাই-আন্দোলনকারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

 

মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, অবিলম্বে গণহত্যায় বিটিভির কুশীলবদের গ্রেপ্তার ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।

মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন , ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালেও তার আস্থাভাজন কর্মকর্তারা এখনো বিটিভিতে বহাল রয়েছেন। হাসিনাস ম্যান দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মহসিনের প্রভাবে তার স্ত্রী তাসমিনা আহমেদ ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে বার্তা শাখার শামছুল আলম এখনো প্রভাব খাটিয়ে যাচ্ছেন পুরো বিটিভি জুড়ে । তিনি বলেন , বিটিভিতে আওয়ামী পুনর্বাসনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন বর্তমান সময়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম। তার নির্দেশনায় বার্তা বিভাগে ছাত্রলীগ কর্মীকে সংবাদ উপস্থাপিকা বানানো, বিশেষ ক্যাটাগরীর শিল্পীদের বাদ দিয়ে খ ও গ ক্যাটাগরির শিল্পীদের দিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান নির্মাণের নির্দেশ, নতুন কুঁড়িকে বিতর্কিত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের আশ্রয়ের অভিযোগ রয়েছে। বিএনপি নিধন কর্মসূচিও এগিয়ে নিচ্ছেন বর্তমান ডিজি।

হোমনায় ভিপি ইব্রাহিম ফাউন্ডেশনের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প উদ্বোধন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:০৬ অপরাহ্ণ
   
হোমনায় ভিপি ইব্রাহিম ফাউন্ডেশনের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প উদ্বোধন

হোমনায় ভিপি ইব্রাহিম ফাউন্ডেশনের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প উদ্বোধন

হালিম সৈকত,কুমিল্লা ।।
মানব সেবা পরম ধর্ম। পরের উপকারে নিজেকে উৎসর্গ করার মাঝে জীবনের চরম সার্থকতা উপলব্ধি করা যায়। এ লক্ষ্য নিয়ে কুমিল্লার হোমনায় ভিপি ইব্রাহিম ফাউন্ডেশনের মাসিক ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। জানা গেছে, চিকিৎসা ক্যাম্পে স্থানীয় ১৫০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান করা হয়।

১১ অক্টোবর শনিবার উপজেলার মাথাভাঙ্গা জয়দেবপুর সাদ্দাম বাজারে চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমা।

বিশিষ্ট সমাজ সেবক হযরত আলী সওদাগরের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম, সমাজ সেবক মো. ফারুক উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ভিপি অহিদুজ্জামান মোল্লা,ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলমগীর হোসেন, রাজু আহমেদ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করেন হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ শহিদুল্লা এবং ডা. রেজাউল করিম।

ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হোমনা সরকারি কলেজের ভিপি ইব্রাহিম জানান , অর্থের অভাবে কোনো গরীব রোগী যেন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্য রেখে কাজ করে যাবো । এ জন্য আমি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি ।

এমপি নয়, তিতাস-হোমনার প্রতিটি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে সেবক হয়ে থাকতে চাই” — সাবেক ছাত্রনেতা ওমর ফারুক মুন্না

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ৬:১৩ অপরাহ্ণ
   
এমপি নয়, তিতাস-হোমনার প্রতিটি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে সেবক হয়ে থাকতে চাই” — সাবেক ছাত্রনেতা ওমর ফারুক মুন্না

এমপি নয়, তিতাস-হোমনার প্রতিটি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে সেবক হয়ে থাকতে চাই” — সাবেক ছাত্রনেতা ওমর ফারুক মুন্না
এম এ জামান।।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬-কে সামনে রেখে কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে উঠে এসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় যুবদলের পদাধিকারী, তিতাস উপজেলার আলিনগর গ্রামের কৃতি সন্তান ওমর ফারুক মুন্না।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতিটি সংগ্রামে রাজপথের পরীক্ষিত সাহসী মুখ হিসেবে পরিচিত এই সাবেক ছাত্রনেতা। দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হন তিনি। এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ৫৪টি মিথ্যা মামলা রয়েছে, যার কারণে দীর্ঘ ১৬ বছর নিজ গ্রামে যাতায়াত করতে পারেননি।
রাজনৈতিক নির্যাতন ও পুলিশের হয়রানির কারণে তার পরিবারকেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এমনকি এসব চাপ সহ্য করতে না পেরে তার পিতা ব্রেন স্ট্রোক করেন। তবুও দমে যাননি ওমর ফারুক মুন্না— রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
আমি দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দলের নির্দেশে রাজপথে থেকেছি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। কোভিড-১৯ ও বন্যার সময় তারেক রহমান ভাইয়ের নির্দেশে হোমনা ও তিতাসের বিভিন্ন ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করেছি।”
তিনি আরও বলেন,
২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি কুমিল্লা-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম, পরে দলের সিদ্ধান্তে তা প্রত্যাহার করি। এবারও যদি দল আমাকে মূল্যায়ন করে, তাহলে আমি এমপি নয়— তিতাস ও হোমনার প্রতিটি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে সেবক হয়ে থাকতে চাই।”
ওমর ফারুক মুন্না বিশ্বাস করেন— রাজনীতি মানে ক্ষমতার আসন নয়, মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করা।